কম বয়সে ব্রা পড়লে মে’য়েদের সাধারণত যে ‘ক্ষ’তি হয় (ল’জ্জা নয় জানতে হবে)

ব্রা বা বক্ষব’ন্ধ’নী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজে’র সঠিক মাপ (shape) জে’নে নিন। ভু’ল মাপের (shape) ব্রা পরিধানে সারাদিন অস্বস্থি অনুভূত হতে পারে।

তাই ব্রা কেনা এবং ব্যবহারের ব্যবহারের ব্যপারে আপনাকে সত’র্ক হতে হবে। সুন্দর, উঁচু ও ভরাট বক্ষের অধিকারী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন প্রায় সব না’রীই। নইলে যেন না’রীত্বে কোথাও খামতি রয়ে যায়। যদিও এর পক্ষে বিপক্ষে ত’র্ক চলবেই।

বিশ্বের কোটি কোটি না’রী তাদের শ’রীরকে আরো আক’র্ষণীয় দেখাতে যে বক্ষব’ন্ধ’নী ব্যবহার করেন তার পে’টেন্ট নথিভুক্ত করা হয় আজ থেকে ১০০ বছর আগে। ১৯১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। ব্রা এর উদ্ভাবক হলেন মেরি ফেল্পস জ্যাকব।

সময়ের স’ঙ্গে স’ঙ্গে ব্রা এর চেহারা, সাইজ, রং, ডিজাইন অনেক কিছুই বদলে গেছে। একঝলকে জে’নে নিন বক্ষের যত্ন নিতে ঠিক কেমন ব্রা ব্যবহার করা উচিৎ।

কত বছর বয়স থেকে মে’য়েদের ব্রা পরা উচিত
মোটামুটি ভাবে মে’য়েদের বয়ঃসন্ধি এগারো বা বারো বছর বয়স থেকেই শুরু হয়। তার খানিক আগে থেকেই তাদের শ’রীরের বৃ’দ্ধি হতে শুরু করে। স্ত’ন সুগঠিত হতে শুরু করে। স্ত’ন গঠিত হতে শুরু করেছে কিনা তা আপনি বুঝতে পারবেন যখন বক্ষদেশ আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করবে। স্ত’নবৃন্ত সুগঠিত হতে শুরু করবে।

এই সময়ে বুকের ওই অংশে বেশ ব্য’থা অনুভূত হয়। এই সময়ে মে’য়েরা স্বা’ভাবিক ভাবেই রাস্তায় বেরোলে আচ’মকাই বেশী লোকের দৃষ্টি আক’র্ষণ ক’রতে থাকে যা তাদের নিজেদের কাছেও অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। স্ত’ন স’ম্পর্কে মে’য়েরা এইসময় থেকেই সচে’তন হতে শুরু করে।

এরকম অব’স্থায় তাদের বক্ষব’ন্ধ’নী কিনে দেওয়া উচিত। তবে সব মে’য়েদের শা’রীরিক বৃ’দ্ধি এক রকম হয় না। হয়ত দেখবেন কোনো কোনো মে’য়েকে এগারো বছর বয়স থেকেই বক্ষব’ন্ধ’নী পরতে হয়, তার শা’রীরিক গঠন ও বৃ’দ্ধির কারণেই।

আবার হয়ত দেখবেন কোনো কোনো মে’য়ে প্রথম বক্ষব’ন্ধ’নী পরতে শুরু করে প্রায় চোদ্দ বছর বয়সে এসে। শা’রীরিক গঠন প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার। তাই যার যখন প্রয়োজন তার তখনই বক্ষব’ন্ধ’নী পরা উচিত। ব’ন্ধুরা পড়ছে অথচ আমি পড়ছি না এই নিয়ে অযথা চিন্তা না করাই ভালো।

ব্রা এর মাপ নির্ধারণ করবেণ যেভাবে
ব্রা না’রীদের বহুল ব্যবহৃত অন্তর্বাস। কিন্তু বক্ষব’ন্ধ’নী এর মাপ (shape) নির্ধারণে অনেকেই ভু’ল করে থাকেন। যেহেতু ভু’ল মাপের বক্ষব’ন্ধ’নী না’রীদের বিভিন্ন শা’রীরিক স’মস্যার কারণ হতে পারে তাই বক্ষব’ন্ধ’নীর সঠিক মাপ (shape) নির্ধারণে গু’রুত্ব দেয়া প্রয়োজন। জে’নে নিন কী’ভাবে ব্রা এর সঠিক মাপটি নির্ধারণ করবেন।

ব্যাণ্ডের সাইজে’র মাপ (shape) নির্ধারণ – নিঃশ্বা’স ত্যা’গ করুন, ফু’সফুস থেকে সমস্ত বাতাস বের করে দিন। এবার মেঝের সাথে সমান্তরাল করে বুকের চারদিকে ফিতা দিয়ে বক্ষোদেশের নিচে অর্থাৎ যেখানে ব্রা শেষ হয়ে গেছে, সেখানে মেপে নিন।

দশমিক সংখ্যা এলে তার কাছাকাছি পূর্ণ সংখ্যা ধ’রবেন। যেমন, ২৮.৫ ইঞ্চি বা এর কম হলে ২৮ ইঞ্চি ধ’রবেন। ২৮.৬ ইঞ্চি বা এর বেশি হলে ২৯ ধ’রবেন। সংখ্যাটা জোড় হলে, তার সাথে ৪ যোগ করবেন। সংখ্যাটা বিজোড় হলে, তার সাথে ৫ যোগ করবেন।

কাপের সাইজে’র মাপ (shape) নির্ধারণ – সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে, হাত দুদিকে ছে’ড়ে দিয়ে, ব্রার উপরে যেখানে সর্বো’চ্চ উঁচু, সেখানের মাপ নিন। খেয়াল রাখবেন যাতে মাপার সময় ফি’টা মেঝের সমান্তরাল থাকে, কোথাও উঁচু-নিচু যেন না হয়। দশমিক সংখ্যা এলে তার কাছাকাছি পূর্ণ সংখ্যা ধ’রবেন। যেমন, ৩৪.৫ ইঞ্চি বা এর কম হলে ৩৪ ইঞ্চি ধ’রবেন। ৩৪.৬ ইঞ্চি বা এর বেশি হলে ৩৫ ধ’রবেন।

ব্রার সাইজে’র মাপ (shape) নির্ধারণ – কাপের সাইজে’র মাপ থেকে ব্যাণ্ডের সাইজে’র মাপ (shape) বিয়োগ দিন। এই সংখ্যাটা দিয়েই পেয়ে যাবেন কাপের সাইজ। এছাড়া বক্ষব’ন্ধ’নী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্য কারও সহযোগিতা নিতে পারেন। বেশী টাইট বক্ষব’ন্ধ’নী আপনার স্ত’নের (breast) জন্য ক্ষ’তিকর।

ব্রা কেনার সময় যেসব বি’ষয় খেয়াল রাখবেন
বক্ষকে বেঁ’ধে রাখতে বাজারে অনেক রকমের বক্ষব’ন্ধ’নী পাওয়া যায়৷ বিশেষজ্ঞদের পরাম’র্শ হলো শুধু মিষ্টি রং, সুন্দর ডিজাইন আর কম দাম দেখে নয়, স্বা’স্থ্যের জন্য সেটা কতটা উপযোগী অর্থাৎ কাপড়ের মানও দেখা প্রয়োজন। তাছাড়া কিছু বক্ষব’ন্ধ’নীতে স্ত’নের (breast)

আ’কার আরও সুন্দর ক’রতে ব্রা’র কিনারায় গোল করে স্টিল বা ধাতব পাত লা’গানো হয়। এগুলো শ’রীরের জন্য ক্ষ’তি বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে কী’ না, সে বি’ষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। বক্ষব’ন্ধ’নী কেনার সময় দেখে নিন সেই হুক লা’গানোর অনেকগুলো ঘর আছে কিনা।

যে বক্ষব’ন্ধ’নী গু’লিতে হুক লা’গানোর জন্য একাধিক ঘর আছে সেগুলো কেনাই ভালো। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের স্ত’নযুগল (breast) অনেক বড়, তারা এক-দুই সাইজ ছোট বা খুব আঁটসাঁট বক্ষব’ন্ধ’নী পরেন, যা একদমই ঠিক নয়। কারণ এটা দে’খতে যেমন ভালো লাগে না, তেমনি স্বা’স্থ্যের জন্যও ক্ষ’তিকর৷ তাছাড়া বেশি আঁটসাঁট বক্ষব’ন্ধ’নী পরলে শ্বা’সক’ষ্টও হয় অনেকের।

তাই বেশি বড় বা বেশি ছোট কোনটাই ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বেশি টাইট বক্ষব’ন্ধ’নী কে স্ত’ন ক্যা’ন্সারের জন্য দায়ী মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ভ’য়াল ক্যা’ন্সার হতে নিজেকে দূ’রে রাখার জন্য সঠিক মাপের (shape) বক্ষব’ন্ধ’নী পরিধান জ’রুরি। তাই আন্দাজে বক্ষব’ন্ধ’নী কিনতে যাবেন না।

একস’ঙ্গে একাধিক বক্ষব’ন্ধ’নী কিনুন। ব্রা ভালো রাখতে হলে এবং সঠিক মাপে (shape) রেখে দীর্ঘদিন ব্যবহার ক’রতে হলে একই বক্ষব’ন্ধ’নী সপ্তাহে দু’দিনের বেশি পরবেন না। সম্ভব হলে একদিনই পরুন। ইলাস্টিককে কয়েকদিন বিশ্রাম দিলে এর ইলাস্টিসিটি আবার আগের মত হয়ে যায় কিছুটা। তাই বক্ষব’ন্ধ’নী কেনার সময় এক স’ঙ্গে একাধিক কিনুন, যেন বদলে বদলে পরা যায়।